চিয়া সিডের যত উপকারিতা! দৈনিক পত্রিকা দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৪ স্বাস্থ্য ডেস্ক: চিয়া সিড একটি গাছের বীজ। শস্যে জাতীয় উদ্ভিদ যা মরুভূমিতেই বেশি জন্মায়। স্বাস্থ্যের ভাষায় চিয়া সিডকে সুপারফুড বলা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই এটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে দুধ ডিমের থেকেও চিয়া সিডে বেশি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন তথ্যে জানা যায়, প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির প্রধান খাদ্য তালিকায় এটি রাখা হতো। চিয়া সিড দেখতে অনেকটা তিলের দানার মতো। আমেরিকা ও মেক্সিকোতে চিয়া নামে এক ধরনের গাছ হয়। এই গাছের বীজকেই চিয়া সিড বলে। এই বীজজাতীয় খাবারটি প্রচুর পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। তাই পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা হয় চিয়া সিডকে। যারা স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন। তাদের খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন চিয়া সিড। সকালে খালি পেটে পানিতে গুলিয়ে, সারা রাত ভিজিয়ে অথবা এক ঘণ্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন চিয়া সিড। চিয়া সিডে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এতে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩ রয়েছে। এতে আরও রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ। আসুন জেনে নেয় চিয়া সিডের বিভিন্ন উপকারের কথা– ১. চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজন। ২. চিয়া সিডে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। যা ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ধূমপান, ভাজাপোড়াজাতীয় খাবার, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ফ্রি র্যাডিক্যাল তৈরি হয়। চিয়া সিড সেবনে এসবের বিরুদ্ধে টিকে থাকা সহজ হয়। ৩. ফাইবার হজম শক্তি ভালো করে। চিয়া সিড নিয়মিত খেলে হজমের শক্তি ভালো হয়। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া চিয়া সিডে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে ডায়াবেটিস রোগীরা ভালো থাকেন। ৪. চিয়া সিডে প্রোটিনও বেশি থাকে। শরীরের পেশির সুস্থতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। চিয়া বীজে রয়েছে শরীরের জন্য দরকারী নয়টি প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড। যা শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না। ৫. চিয়া সিড ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস। এটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পাশাপাশি রক্তচাপ, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। ৬. চিয়া সিডে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস, যা হাড় ও দাঁতের জন্য প্রয়োজন। প্রত্যেক জিনিসেরই ভালো-খারাপ দিক থাকে। চিয়া সিডে ভালোর পরিমাণ বেশি হলেও কিছুটা খারাপ প্রভাবও লক্ষ করা যায় মাঝে মাঝে। তবে এটা ব্যবহারের উপরও নির্ভর করে। আসুন এবার জেনে নেয় চিয়া সিড এর কিছু অপকারিতা- ১. গবেষণায় জানা গেছে, চিয়া সিড প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই ভালোর কথা ভেবে বেশি বেশি না খেয়ে এটি সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত। ২. পরিমাণের থেকে বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। ৩. অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে, এটি খারাপ হতে পারে। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: