টাঙ্গাইল সদর থানার অভিযানে উদ্ধার হল অপহরণ হওয়া ব্যক্তি; গ্রেপ্তার ২ জন

প্রকাশিত: ১২:২৫ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২৫

মৃণাল কান্তি রায়, টাঙ্গাইল

অপহরণের পর বিকাশের মাধ্যমে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টাঙ্গাইল সদর থানা অফিসার ইনচার্জ তানভীর আহমেদ এর নির্দেশে এসআই আমিনুল ইসলাম খান এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় অপহৃত মোমিনুল ইসলাম (৩৩) নামে একজন চাকুরিজীবীকে উদ্ধার করা হয়। এসময় গ্রেপ্তার হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ব্রাহ্মণ কুলিয়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আল আমিন তালুকদার (৩২) ও দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে কুতুব উদ্দিন রনি (২৮)। শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে শহরের থানাপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ জানান, এ ঘটনায় মোমিনুল ইসলাম রাতে বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, অপহৃত মোমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে টাঙ্গাইল শহরের রেজিস্ট্রি পাড়ায় কর্মরত ছিলেন। এ সুবাদে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রিয়া মনি নামে এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। বুধবার (৫ মার্চ) রাতে রিয়া মনি মোমিনুলকে শহরের শান্তিকুঞ্জ মোড়ে ডেকে আনেন। পরে তার সঙ্গে থাকা দুইজন মোমিনুলকে জোরপূর্বক শহরের থানাপাড়ার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরবর্তীতে তারা বাড়ি থেকে নগদ টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয় পরিবারকে। অপহরণকারীরা মোমিনুল ইসলামের সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বলে বাড়িতে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দিতে বলে। পরে মোমিনুলের বাবা মোহাম্মদ আলী প্রথমে বিকাশে পাঁচ হাজার টাকা দেন। পরে তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকাশের মাধ্যমে আরও ১০ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকার জন্য তারা মোমিনুল ইসলামকে মারধর ও নির্যাতন করে। এভাবে বিকাশের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা দিতে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। বিষয়টি পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোমিনুল ইসলামকে উদ্ধার করে। এসময় দুইজনকে আটক করা হয়। অন্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।